যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও স্বরুপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক সানোয়ার হোসেন বকুল, চৌগাছা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্বরুপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন শামীম আক্তার লিখন।
বৃহস্পতিবার (৯জুন) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, যশোরে এই মামলা করেন। আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন।
মামলার অভিযোগে মামুন শামীম আক্তার লিখন বলেন, তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড চৌগাছা উপজেলা আহবায়ক এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর পিতা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের চৌগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামীরা অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নানাজনকে দিয়ে নানাভাবে ফাঁদে ফেলে অর্থ উপার্জন করা তাঁদের উদ্দেশ্য। গত ১৮ই এপ্রিল দুপুর ২টা ৩১ মিনিটে সামাজিক গণমাধ্যমে আসামীগণের আইডিতে নিজ নামে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থেকে (স্মার্টফোন) বাদি, তাঁর ভাই ও পিতার নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট কুরুচিপূর্ণ মনগড়া তথ্য প্রচার ও প্রকাশ কেের বাদি ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানী করেছেন। আসামী তাঁর ফেসবুক আইডিতে কুৎসিত ও হুমকি স্বরুপ ভাষা ব্যবহার করেছে এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পিতার নামে কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই শুধুমাত্র সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে বাদির পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধাকে ১৯৭১ সালে ডাকাত এবং বাদি ও তাঁর পরিবারের সদস্য এক সন্তানকে মাদকখোর ও স¤্রাট অবিহিত করে অবমাননা করা হয়েছে। যা প্রচার ও প্রকাশ করে বাদি ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানী ঘটিয়ে আসামীগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের গুরুতর দন্ডনীয় অপরাধ করেছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা না হওয়ায় বাদি এই মামলা করছেন। এবং আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।