খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন
  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা

চুকনগরে ২৭ ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবীতে ধর্মঘট

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭ জন ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবীতে ডাকা ধর্মঘট পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত স্বতঃফুর্তভাবে ব্যবসায়ীরা দোকাপাট বন্ধ রেখে তাদের এ কর্মসূচী পালন করে।

খুলনা জেলা পরিষদের কর্মকর্তা হাসানের দায়ের করা মামলায় বুধবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালত, ডুমুরিয়া, খুলনায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

চুকনগর বাজারের যতিন-কাশেম সড়কের জায়গায় ঘর নির্মানকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দন্দ্বের জের ধরে গত ৯ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত,ডুমুরিয়া, খুলনায় চুকনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম, সাধারণ সম্পাদক সরদার অহিদুল ইসলাম সহ ৩৩ জনকে আসামি করে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা হাসান একটি মামলা দায়ের করেন। গত বুধবার ৩৩ জন আসামীর মধ্যে ৩২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত ৫ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ২৭ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার অহিদুল ইসলাম সহ ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আহুত ধর্মঘট স্বতঃফুর্তভাবে পালিত হয়েছে।

এদিকে সকালে জেলা পরিষদের একাধিক ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অসংখ্য পুলিশ সদস্য চুকনগর বাজারে অবস্থান নেয়।তাদের উপস্থিতিতে ঘর নির্মাণের জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট ও রাজ মিস্ত্রিরা কাজ শুরু করলে ব্যবসায়ীরা ফুসে ওঠে। সকাল থেকে অনেক নাটকীয়তার পর দুপুর ১টার দিকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কাগজপত্র ম্যাজিষ্ট্রেটকে দেখনো হয়।

এরপর জেলা পরিষদের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দেবাশীষ বসাক সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং-এ বলেন, জেলা পরিষদের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সীমানা নিধারণের দায়িত্ব দিয়ে আমাকে এখানে পাঠানো হয়। কিন্তু আমি এসে দেখি উচ্ছেদ অভিযান আগেই পরিচালনা করা হয়েছে। বিধায় নতুন করে আর কোন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে আজকের কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!