চুকনগরে দীর্ঘ ৫০বছরের পানি সরবরাহের ড্রেন বন্ধ করে দেয়ায় আবাসিক এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার ১মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়ি ও রাস্তার উপর পানি উঠে যাওয়ায় পানিবন্দী বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরমে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা আটলিয়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম জানায়, দীর্ঘ ৫০বছরের বেশী সময় ধরে আবাসিক এলাকা, জেলেপাড়া, নন্দীপাড়া, তাঁতীপাড়া, খাঁপাড়া, বেহারাপাড়া সহ কয়েকটি এলাকার বৃষ্টির পানি সরবরাহের একটি ড্রেন ছিল। কিন্তু জনৈক সুভাষ নন্দী ও তার গংরা ড্রেনটি বন্ধ করে দেওয়ায় আবাসিক এলাকার প্রায় শতাধিক পবিরার এক মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছি। বর্তমানে পানি পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। পচা পানির দুর্গন্ধের কারণে বাড়িতে বসবাস করা যাচ্ছে না। রাস্তার উপর পানি উঠে গেছে। চলাচল করা যাচ্ছে না।
সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বদরুজ্জামান তসলিম বলেন, পচা পানির দুর্গন্ধে বাড়িতে বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে সুভাষ নন্দীকে ড্রেনটি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী ব্যবসায়ী মাহাতাব হোসেন মোড়ল, অলিয়ার রহমান, অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ সরকার ও সোবহান হোসেন মোল্যা বলেন, এখানে একটি কওমী মাদ্রাসা রয়েছে। প্রত্যেকটি বাড়িতে ১০/১৫টি পরিবার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। কিন্তু পচা পানির দুর্গন্ধে রোগ জীবানু ছড়ানোসহ ছেলেমেয়েদের নানা অসুখ বিসুখ হওয়ায় ভাড়াটিয়া পরিবার গুলো অসহায় হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সুভাষ নন্দী বলেন, ‘পানি সরানো তো কোন সমস্যা না। তবে যদি পানিতে প্রতিনিয়ত নোংরা ভেসে আসে তাহলে আমরাও কিভাবে এখানে বসবাস করব।’
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমাদের আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। আমি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছি। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ঐ এলাকার মানুষকে পানিবন্দীর অভিশাপ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি।