নড়াইলে চিত্রা নদীতে জালে ধরা পড়েছে প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি ঘড়িয়াল। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদী থেকে গ্রামবাসী জাল দিয়ে ঘড়িয়ালটিকে আটক করে।
তবে স্থানীয়রা এটিকে কুমির ভাবলেও উপজেলার সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন প্রাণীটি ঘড়িয়াল বলে ধারণা করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘড়িয়ালটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। পরে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে সেটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘড়িয়ালটিকে জাল দিয়ে আটকে ডাঙায় তুলে পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে রাখা হয়। এ সময় ঘড়িয়ালটি দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশু ভিড় করেন। পরে বন বিভাগে খবর দিলে ওই দিন সন্ধ্যায় এসে তারা ঘড়িয়ালটি নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রুহুল আমিন জানান, সোমবার দুপুরের পর গ্রামের জোবায়ের ইটভাটার পাশের নদীর চরে শ্রমিকরা বৃহৎ আকৃতির ওই ঘড়িয়াল দেখতে পান। এ খবর গ্রামবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সবাই মিলে জাল দিয়ে ঘেরাও করে ঘড়িয়ালটিকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে ইটভাটার শ্রমিকরা ঘড়িয়ালটি দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেয়। পরে খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২ জন মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে ঘড়িয়ালটিকে আটক করে। পরে ঘড়িয়ালটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পাহারায় রাখা হয়। সন্ধ্যার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ঘড়িয়ালটিকে বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে সন্ধ্যার আগে নিয়ে গেছেন। এটি মিঠাপানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকাল হওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল।’
খুলনা গেজেট/ বিএমএস