খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, চিকিৎসা সেবা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এক সময় চিকিৎসা পাওয়ার মূল স্থান ছিলো সরকারি হাসপাতাল। এখন সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। বিত্তবানদের চিকিৎসার জন্য দেশের নামী-দামী প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠলেও গরীব মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এখনও সরকারি হাসপাতাল। আমাদের দেশের নিম্নমধ্যবিত্তের চিকিৎসার জন্য এখনও সরকারি হাসপাতালই ভরসা স্থল। তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায়, এমনকি কোনো কোনো উপজেলায়ও এখন সরকারি আধুনিক হাসপাতাল আছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ প্রায়ই সকল ধরনের চিকিৎসা সমগ্রী থাকে। রোগীদের অপারেশন থেকে শুরু করে সকল সেবা কাজ পরিচালনা করা হয়। কোন মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর যাতে খুলনার বাহিরে না যেতে হয় সে জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করছি।
শনিবার সকাল ১১টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদ উল কবীর, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার মঞ্জুর মোর্শেদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার দ্বীন উল ইসলাম, খুলনা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার গৌতম কুমার পাল, উপ-পরিচালক ডাক্তার হোসাইন সাফায়েত, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. তারেক মাহমুদ তারা, কাউন্সিলর মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাউন্সিলর হাসান ইফতেখার চালু, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, ড. সাঈদুর রহমানসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এরপর তিনি শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং বক্ষব্যাধী হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ও রোগীদের খোঁজখবর নেন।
খুলনা গেজেট/কেডি