চার হাত ও চার পা নিয়ে জন্ম নেওয়া এক নবজাতককে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। নবজাতকটিকে দেখতে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভিড় করছে উৎসুক মানুষ।
শনিবার (০৫ জুন) দুপুরে দিনাজপুর থেকে আসা একদিন বয়সী এ নবজাতককে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে শুক্রবার ভোর ৫টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলে শিশুর জন্ম দেন মা রুনা লায়লা। তিনি দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মকুন্দপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের দিনমজুর গোলাম রব্বানীর স্ত্রী।
হাসপাতালের চিকিৎসক মহিদুল হাসান মারুফ জানান, এটি একটি বিরল ঘটনা। যা আগে কখনও দেখিনি। তবে শিশুটি সুস্থ আছে। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সিনিয়র চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়ে নবজাতকের মা রুনা লায়লা বলেন, আমার বাচ্চাকে বীরগঞ্জে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনীন্দ্র নাথ রায়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাচ্চাকে ভর্তি করেছি। শনিবার সকাল ১০টার দিকে বীরগঞ্জ ক্লিনিক থেকে সুস্থ অবস্থায় আমাদের মা-ছেলেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে আমরা রংপুরে চলে আসি ।
শিশুটির বাবা গোলাম রব্বানী বলেন, আমি গরির মানুষ। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। দিনমজুরি করে যা পাই তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না। এ অবস্থায় কীভাবে এ বাচ্চার চিকিৎসা করাব ভেবে পাচ্ছি না। আমার তো টাকা পয়সা নেই। আল্লাহ যদি রহম করে তাহলে ছেলের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। বীরগঞ্জের চিকিৎসক ছেলেকে রংপুর আনার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই নিয়ে এসেছি। জানি না কী হবে।
রব্বানী-লায়লা দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান। তাদের প্রথম সন্তান একটি মেয়ে। তার বয়স ছয় বছর।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি