দোষী প্রমাণিত না হলে চাপ প্রয়োগ করে ভিসির অপসারণ মেনে নিবেনা শিক্ষক সমিতি। অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখবে শিক্ষকরা! সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা না বলায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।
কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে দুপুর ১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন সহ কয়েকজন শিক্ষক। ছাত্রদের উপর আক্রমণ ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকবৃন্দ কোন ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানান শিক্ষকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা নিউজ করেছে যে কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েটে শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, যা দুঃখজনক। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে ধুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। তিনি এসবের বিচার দাবি করেন।’
মহান জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মব কালচারের মাধ্যমে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর এর অপসারণ হতে পারে না। এই ধরনের কালচার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই রকম মব কালচারের আশঙ্কা তৈরি হবে বলে শিক্ষক সমিতির বার্তায় জানানো হয়। মব কালচারের উপর ভিত্তি করে সরকার কর্তৃক কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার অনুরোধ করেন তারা। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তা মেনে নিবে না এবং শিক্ষক সমাজ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে জানান তারা।
খুলনা গেজেট/হিমালয়/লিপু/জেএম