যশোরে ডিসি অফিস ও পুলিশ বিভাগে চাকরি দেয়ার নামে বিশ লাখ টাকা আত্মসাত ও জাল নিয়োগপত্র প্রদানের অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি করেছেন শহরের শংকরপুর এলাকার মৃত শুকুর আলী খানের ছেলে আজিম আলী খান।
মামলায় সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর মেয়ে সুফিয়া খাতুন লিপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআই যশোরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, লিপি তার আত্মীয়। লিপি তাকে জানায়, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক। এ কারণে যে কাউকে টাকার বিনিময়ে তিনি চাকরিতে নিয়োগ দিতে পারবেন। লিপির প্রলোভনে পড়ে আজিম তার ছেলে আসিফুজ্জামানকে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের শেষের দিকে ১০ লাখ টাকা দেন। কয়েকদিন পর বাদীর আরেক ছেলে আশিকুজ্জামানকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য আরো ১০ লাখ টাকা দেন লিপিকে। কিন্তু আজো তাদের চাকরি দিতে পারেননি লিপি। এরইমাঝে চাকরির জন্য চাপ দিলে লিপি ২০১৯ সালের ৮ মার্চ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি জাল নিয়োগপত্র প্রদান করেন। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখায় গেলে তারা জানান এটি জাল। এরপর থেকে প্রতারক লিপি, আজিম খানকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। দু’ ছেলেকে চাকরিতে নিয়োগের জন্য তার দেয়া টাকা ফেরত চাইলে লিপি টালবাহানা করতে থাকে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর লিপি আজিমকে জানিয়ে দেন পাওনা টাকা ফেরত দেবে না। এছাড়া এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে আজিমসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুন গুমের হুমকি দেন। পরে বাধ্য হয়ে আজিম আদালতে এ মামলা করেন। আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট/কেএম