খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে
  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
  নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে সব তৈরি পোশাক কারখানা, কাজে ফিরেছেন পোশাক শ্রমিকরা; শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার

চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিল ৩৫ প্রত্যাশীরা

গেজেট ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের আন্দোলন করতে করতে ক্লান্ত। সম্প্রতি এ দাবির প্রতি একমত পোষণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। এতে আশায় বুক বাঁধছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা।

শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চেয়ে থাকতে চান না চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি আবারও মাঠের আন্দোলনে সক্রিয় হতে চান তারা। এ লক্ষ্যে আগামী ১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। ওইদিন সারাদেশ থেকে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছরপ্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থীরা সমাবেশে যোগ দেবেন।

বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফুল হাসান শুভ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রার্থী প্রায় ৩০-৪০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শরিফুল হাসান শুভ বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়াতে হবে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এটা নির্ধারণ করতে হবে। এ দাবি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকে লাগাতার কর্মসূচি করে আসছি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে তার অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ বিশেষ ধাপ অতিক্রম করছে। কিন্তু চাকরি আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।

শরিফুল হাসান আরও বলেন, ২৯ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর ডিও লেটার দিয়েছেন। ৩০ এপ্রিল দাবির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি প্রাথমিক আলোচনাও করেছে। প্রশাসনিকভাবে আমাদের দাবি এখন প্রতিষ্ঠিত। আমরা এখন মাঠ পর্যায়ে চাকরিপ্রার্থীদের সক্রিয় রাখতে চাচ্ছি। আগামী ১১ এপ্রিল বৃহৎ কর্মসূচি থেকে সেই বার্তা সারাদেশের চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!