খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৭ জুন, ২০২৪

Breaking News

  কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৫, আহত ৬০
  নেপালকে হারিয়ে ১৭ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
  ত্যাগের মহিমায় পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা, দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাগেরহাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ও মোংলা প্রতিনিধি

বাগেরহাটে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ৩৫৯ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেখানে আশ্রয় নিতে পারবে ২ লাখ৬৬ হাজার ৬৫১ জন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ স্বেচ্ছাসেবক।

ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে। জরুরি ত্রাণ কার্যে ব্যবহারের জন্য রয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬৪৩.৪০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে কোস্টগার্ড মংলা উপকূল এলাকায় জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং লিফলেট বিতরণ করেছে।

কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, মোংলা কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মোঃ মুনতাসীর ইবনে মহসীন জানান, সকাল থেকে সুন্দরবন লাঘোয়া মোংলা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মোংলার কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মোঃ মুনতাসীর ইবনে মহসীন বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবার পূর্বাভাস রয়েছে। এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহ কে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবন উপকূলের এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্টেশন এবং আউটপোস্ট সমূহ মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন সেল্টার স্টেশনে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তত রাখা হয়েছে। প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!