পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্মচাপটি ঘূর্ণিঝড় দানা’য় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে সাতক্ষীরার থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি বাড়লেও প্রায় ঘন্টাখানেক পর আবারও শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।
এদিকে সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনীসহ উপকূলীয় অঞ্চলে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। এখনও অব্যহত রয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সাথে বইছে হালকা দমকা হাওয়া।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, বুধবার গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ২নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা রয়েছে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও বৃষ্টি হতে পারে।
শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ মোট ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রাখা রয়েছে। উপকূলীয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য দুই হাজার ৯৮০ জন সিপিপি সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন।
শ্যামনগরে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রিন্স রেজা বলেন, শ্যামনগরে ৩৬০ কিলোমিটারের মতো বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ৮-৯টি পয়েন্ট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে কাজ চলছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, পাউবো-১ এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে তিন কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় বুধবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরি সভা আহবান করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম