খুলনার পাইকগাছায় ঘুমের বিরতিতে বন্ধুদের সাথে খেলার অপরাধে গোলাম রাব্বি (১৮) নামে ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে শতাধিক বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম করেছেন চাঁদখালী সামছুল উলুম কওমী মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম ওয়েজ আহম্মেদ।
মাওলানা বিভাগের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বি উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের আবুল হাসান গাজীর ছেলে। আহত ঐ ছাত্রকে উদ্ধারের পর তার পিতা পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন তাকে।
শিক্ষার্থীর পিতা আবুল হাসান গাজী জানান, তার ছেলে গোলাম রব্বানী উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের সামছুল উলুম কওমী মাদ্রাসার জামাত বিভাগের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে মাদ্রসায় নিয়মিত পড়া শেষে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে ১ ঘন্টা ঘুমের জন্য বিরতি দেন। তবে ঘুমের নির্দিষ্ট বিরতিতে সে না ঘুমিয়ে বন্ধুদের সাথে পাশের একটি মাঠে খেলতে যায়। খেলা শেষে মাদ্রাসায় ফিরলে মাদ্রাসার মুহতামিম তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে তার হাতে পায়ে ও পিঠে শতাধিক আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে রাত ১০ টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার পিঠে, পায়ে ও হাতে শতাধিক বেতের আঘাতের দাগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিম ওয়েজ আহম্মেদ বলেন, ছেলেদের ঘুমের জন্য ১ ঘন্টা বিরতি দেয়া হয়। কিন্তু ছেলটি ঘুম না পড়ে মোবাইলে গেম খেলছিলো। সংবাদ পেয়ে তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মারপিট করেছেন বলে স্বীকার করে মারপিটের পরিমাণটা একটু বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এ ঘটনায় তিনি ঐ ছাত্রের পিতা-মাতাসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে সামসুল উলুম কওমী মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদ আব্দুল আলিম জানান, সভাপতি খুলনাতে রয়েছেন। তিনি আসার পর জরুরী সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। ঘটনার শিকার ছাত্রের অভিভাবকের পক্ষে অভিযোগ দিলে তিনি আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি