নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় হঠাৎ করে বেড়ে চলেছে সর্দি-কাশি-জ্বর। থানা এলাকার প্রায়ই ঘরে এখন এ ধরনের রোগী। তাদের মধ্যে জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গিলাতলা, শিরোমনি, মশিয়ালী, মাত্তমডাঙ্গা, যোগিপোল, বাদামতলা, তেলিগাতিসহ থানা এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তবে করোনা শনাক্তের ভয়ে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে না। বাড়িতে বসেই গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার ফলে ঔষধের ফার্মেসিতে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধসহ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সচেতনতা না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অসুস্থ অবস্থায় হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই।
ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুত্রে জানা গেছে, সর্দি-কাঁশি,জ্বর ও গলাব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বহির্বিভাগে প্রায় ৪ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহের বেশি সময় জ্বর-কাশিতে ভুগলেও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেউ।
করোনাকালীন সময়ে শিরোমনি বাজারে নিয়মিত রোগি দেখছেন ডাঃ আলাউদ্দিন শিকদার। তিনি বলেন, জ্বর-সর্দি, কাশি এধরনের রোগি এখন বেশি আসছে এবং অনেকেই করোনার উপসর্গ নিয়ে আসছে। তাদের বারবার করোনা নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হলেও তারা করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না। করোনা মহামারির এই সময়ে যে কারণেই সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিক না কেন অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই