মামলার এজাহারে বর্ণিত সময় কারাগারে থেকেও সেই মামলায় খুলনার এক বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার শিকার এইচ এম আসলাম (৪৫) নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নগরীর হাজী মহসিন রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) কেডি ঘোষ রোড়ের দলীয় কার্যালয়ে বিষয়টি বিএনপি নেতারা নজরে আনেন।
আসলামের আইনজীবী ও বিএনপি নেতারা জানান, আসলাম ২০২২ সালের ২৬ মে বিকেলে (৪টা ৪৫ মিনিট) নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে সংঘর্ষ, হামলার ঘটনায় ৩১ মে দায়ের করা মামলার আসামী ছিলেন। তাঁকে ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টায় গ্রেপ্তার হয়ে থানায় ছিলেন। পরদিন ৪ ডিসেম্বর দুপুর দুইটার দিকে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
খুলনা জেলা কারাগারের রেজিস্টারের তথ্যও বলছে, এইচ এম আসলাম ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর কারাগারে ছিলেন।
আসলামের স্বজনরা আরো জানান, কিন্তু বুধবার রাতে খুলনা সদর থানা পুলিশ তাঁকে (আসলাম) ৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫৫মিনিটে (মামলা নম্বর ২, তারিখ ০৪/১২/২২) সংগঠিত নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। মামলায় অভিযোগ রয়েছে, ‘আসামীরা খুলনা টেলিকমিউনিকেশন ভবন ধ্বংসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ তথা তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতিসহ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা সেখানে জড়ো হয়।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে খুলনা সদর থানার এসআই শাহীন কবির বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৮০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, পুলিশ সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। কোন ঘটনা না ঘটলেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। টিএন্ডটি ভবনে নাশকতার কাহিনীও অসত্য। জেলে থেকে সেই মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম আসামী হয়েছেন। খুলনা বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে এমন হয়রানি করা হচ্ছে।
এইচ এম আসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার জানান, নাশকতা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোন ভিত্তিতে এইচ এম আসলামকে আসামী করলো বুঝতে পারছি না। নাশকতার মামলার এজাহার অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত ৯টা ৫৫মিনিটে। তখন আসলাম কারাগারে অবস্থান করেন। বিষয়টি মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
খুলনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু এইচ এম আসলামকে নাকশতারার মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নাশকতা মামলায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি