দেশব্যাপী করোনা আক্রান্তের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে । মৃত্যুর মিছিলও থেমে নেই। ইতিমধ্যেই খুলনা বিভাগ সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সাথে জেলার উপকূলীয় কয়রা উপজেলায় রকেটগতিতে ছড়াচ্ছে অদৃশ্য এই শত্রু।
গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে বাড়ছে করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি। তবে তার বেশিরভাগই প্রকাশ পাচ্ছে না। অনেকেই লকডাউনের ভয়ে বিষয়টি চেপে যাচ্ছেন, আবার কেউ এড়িয়ে যাচ্ছেন ‘মৌসুমি জ্বর-জারি’ বলে। ফার্মেসি থেকে জ্বর সর্দির ঔষধ কিনে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অবাধ ঘোরা ফেরা করছেন। যা ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে এখন যে অবস্থা, তাতে ব্যাপকভাবে নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ১৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬ জন আক্রান্ত এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। মৃত্যু ৭ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদীপ বালা বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকেই আছেন যারা নমুনা পরিক্ষা করছেন না। তাদের অবাধ ঘোরা ফেরায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা জোর করে নমুনা নিতে পারিনা। তবে আমাদের টিম করোনা সচেতনতা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম