আসন্ন ১১ নভেম্বর ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে গোটা ইউনিয়ন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ঢাকা আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডে নৌকা প্রত্যাশীরা তাদের দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও ৩৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খান হাফিজুর রহমান এবং ৩৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কিসমত আলী।
কদর বেড়েছে ভোটারদের, আলোচনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে। নির্বাচন সম্পন্ন করতে নিযুক্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ফুলতলা উপজেলার ১নং আটরা গিলাতলা ইউপি নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডের ১নং ওয়ার্ডে ৫ হাজার ৬৫৮ ভোটার, ২ নং ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৪৪৯, ৩ নং ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৪০৯, ৪ নং ওয়ার্ডের ৫ হাজার ৮৪১, ৫ নং ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৮৭৫, ৬নং ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৪১৯, ৭ নং ওয়ার্ডে ৪ হাজার ২৪৮, ৮ নং ওয়ার্ডে ২ হাজার ৮৯০ এবং ৯ নং ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৩৫৪ জন ভোটার সংখ্যা রয়েছে। মোট ইউনিয়নের ভোটরের সংখ্যা ৩৭ হাজার ১৬৩ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৫১৮ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৪৫ জন। উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে আটরা গিলাতলা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা সব থেকে বেশী ।
গত ২০১৬ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩৫ হাজার ৪১১ জন। অর্থ্যাৎ এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৭৫২ জন নতুন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে জানা গেছে। আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে মোট ১৭ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শেখ জাহিদুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার নিযুক্ত হয়েছে। আটরা গিলাতলা ও ফুলতলা ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি নিজেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শেখ জাহিদুর রহমান আরোও বলেন, ঘোষিত তফশিলে আগামী ১৭ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন থাকলেও এরই মধ্যে অনেক মেম্বর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ ও সংরক্ষিত মেম্বর হিসেবে যারা নির্বাচন করতে ইচ্ছুক তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি মাঠ দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও একাধিক ভোটারের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন হাট-বাজার, দোকান-পাট ও বিশেষ করে চায়ের দোকানে জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি প্রার্থীদের হানা দেয়ায় কদর বেড়েছে সাধারণ ভোটারদের। এখন কে হবে ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী এ হিসাব মিলাতে প্রার্থীর পাশাপাশি চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটাররাও।
খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন, এখানে অনেকেই মনোনয়ন চাইতেই পারেন, তবে শেষমেষ দল থেকে যিনি মনোনয়ন পাবেন দলীয় নেতাকর্মিরা এক হয়ে তার পক্ষে কাজ করবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম