আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাটের জরাজীর্ণ অবস্থা, সংস্কারের অভাবে জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। রাস্তা-ঘাটগুলো নিয়ে নেই যেন কারও কোন মাথা ব্যাথা। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা গুলোতে পানি জমে থাকায় জনসাধারণের চলাফেরায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
১০ বছরের অধিক সময় ধরে গিলাতলা ৫নং ওয়ার্ডের গাজী মেছের আহম্মেদ প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শুরু করে গাজীপাড়া রাস্তা, সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শেখ আব্দুর রউফ এর বাড়ীর পাশের রাস্তা, মোল্যাপাড়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তাসহ ৬নং ওয়ার্ডের বারাকপুর খেয়াঘাট রাস্তার কার্পেটিং উঠে রাস্তাগুলো বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয় । গিলাতলা পুরাতন ডিপটিউবয়েল মোড় থেকে পালপাড়া মোড় পর্যন্ত ড্রেনের অভাবে পানি জমে থাকে, নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। মরহুম ধলামিয়ার বাড়ি থেকে বালিরঘাট জামে মসজিদ সড়কের একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে সাধারণ জনগণের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। শেখ সিমেন্ট কোম্পানী থেকে শুরু করে মক্তবমোড় পর্যন্ত রাস্তাটির অবস্থা আরো ভয়াবহ, হালিম খানের বাড়ি থেকে মরহুম হাবিব মাওলানার বাড়ি পর্যন্ত অপরিকল্পিত ড্রেন এর কারনে ঐ এলাকায় জলাদ্ধতা লেগেই থাকে। বর্ষাকালে এই রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে শতশত কোমলমতি শিশু, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠদানের জন্য স্কুল-কলেজে যেতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভ্যান চালক মোঃ জসিম বলেন রাস্তা খারাপ হওয়াতে দিন দিন যাত্রী কমে যাচ্ছে, ভোগান্তি এড়াতে অন্য ঘাট পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, শেখ সিমেন্ট কোম্পানীর বড় বড় ট্রাক অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে গ্রামের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে, যার কারণে মক্তবমোড়ের রাস্তাটির সব জায়গাতে খানাখন্দে ভরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন ইউনিয়নের কম বেশি সব রাস্তাতেই কাজ করা হয়েছে, বাকি গুলো বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে। এলাকাবাসী রাস্তা এবং ড্রেন এর কাজ অতিদ্রুত সংস্কারের করার জন্য ঊর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেএম