প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় খুলনার কয়রায় চলছে টিকাদান উৎসব। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেও খুলনার কয়রায় গণটিকা কেন্দ্রগুলোতে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। তবে টিকা কেন্দ্র আইডি কার্ড নিয়ে আসা অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশন জটিলতায় চাপা ক্ষোপ নিয়ে ফিরে গিয়েছেন। এছাড়াও ছিলো টিকা স্বল্পতা। বেলা সাড়ে ১১ টার মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যায়।
কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের জাকারিয়া শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। সেখানে সকাল ৭টা থেকেই টিকা নিতে আগ্রহীদের ভীড় দেখা যায়। মহারাজপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ গণটিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং নিজে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে তদারকি করেন। বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে তিনটি বুথে পূর্ব নির্ধারিত ৬’শ টিকা প্রদান সম্পন্ন হলেও কয়েকশ আগ্রহী মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আরও তিনশ টিকা আনা হয়।
টিকা দিতে আসা আঃ হাই, আঃ রশিদ, খুকুমনি সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টিকা নিতে আসেন তারা। টিকা না থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাদের। তবে পরে টিকা পেয়েছেন তারা। একপর্যায়ে আবারও টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত থাকা ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে সেখানে আনা হয়।
একই ইউনিয়নের মঠবাড়ি সেরাজিয়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রেও পূর্ব নিবন্ধন করা ব্যাক্তিদের টিকা কার্ড আনা সাপেক্ষে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। তবে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এনে বৃষ্টির মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা না দিতে পেরে অনেকেই চাপা ক্ষোভ নিয়ে ফিরে যান। এছাড়া বেলা ১২টার পরে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেককে টিকা না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়।
টিকা না পেয়ে ফিরে যাওয়া আকরাম হোসেন জানান, কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের দোকান থেকে নিবন্ধন করে পরিবারের সকলে টিকা নিবেন এই আশায় ভোর ৭টার সময় কেন্দ্রে আসেন তিনি। তবে সার্ভার জটিলতায় নিবন্ধন করতে না পারায় টিকা নিতে পারেননি তিনি। ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁর পরিবারের সকলকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫০০ ভ্যাকসিন বরাদ্দ রয়েছে এবং প্রতিটা ইউনিয়নে ১৫০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি ইউনিয়নে ২টি করে উপজেলায় মোট ১৪ টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই