খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়, অচিরেই বিচার কাজ শুরু হবে : আইন উপদেষ্টা

গণসমাবেশের পর খুলনায় চাপে বিএনপি, ৪ মামলায় আসামি ৭২০ নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির গণসমাবেশের পর মামলার চাপে পড়েছে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশের দিন ভাংচুরের ঘটনায় গত ৯দিনে নগরীর বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সব মামলায় কাউন্সিলর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সিনিয়র নেতাসহ ৭২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে।

গত ২২ অক্টোবর খুলনায় অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস, লঞ্চ, ট্রলারসহ সব ধরনের গণপরিবহন। গণসমাবেশের দিন সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে খুলনা রেলস্টেশন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়, নগরীর শিববাড়ি মোড়ে কয়েকটি মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দুটি ওয়ার্ডে বিএনপি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

তবে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হচ্ছে। এর মধ্যে ২২ অক্টোবর রাতেই প্রথম মামলাটি দায়ের করেন খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার। রেলস্টেশনে গ্লাস ভাংচুরের অভিযোগে জিআরপি থানায় দায়ের করা ওই মামলায় আসাসি করা হয় অজ্ঞাত পরিচয় বিএনপির ১৭০ নেতাকর্মীকে।

২৩ অক্টোবর নগরীর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোবাশ্বের। মামলায় আসামি করা হয় দৌলতপুর থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির ৫৯ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

একই দিন দৌলতপুর থানায় আরেকটি মামলা করেন নতুন রাস্তা বেবিস্ট্যান্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। ওই মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০/২০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় গণসমাবেশের দিন শ্রমিক লীগের সভাপতিসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

২৬ অক্টোবর নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মটর সাইকেল ভাংচুরের অভিযোগে মামলা করেন ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এই মামলায় নগরীর ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৪০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, বাধা দিয়েও গণসমাবেশে জন¯্রােত ঠেকাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। তাদের ব্যর্থতা ঠাকতে এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে মামলা নিয়ে ভীত নয় বিএনপি। আইনীভাবে মামলা মোকাবেলা করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!