বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, জনগনের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি কে করেন? ‘১৪ সালে বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করেছে শেখ হাসিনা, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাত্রে দিয়ে তারা নিজেদেরকে সরকার বলে ঘোষণা করেন। প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে এই সরকার। স্বাধীনতার মূলমন্ত্র বিনষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিষ্ট সরকারের আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার থাকার কোনো অধিকার নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি কথা বলেছেন, আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবার জন্য লড়াই করছি না। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগনের জন্য লড়ছি। জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে অচিরেই জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর কোনো সাজানো-পাতানো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেয়া হবে না। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু অংশগ্রহনমুলক নির্বাচন হতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজ্যত্ব সৃষ্টি করা আ’লীগ নেত্রীর কাজ। পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যায়, ছাত্রলীগ পিটিয়ে হত্যা করেছে। হেলমেট বাহিনীর হাতে চাপাতি, তাদের হাতে লাঠি, তাদের হাতে অস্ত্র। তারা শিক্ষককে অপমান করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি কারা করেছিল? নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেন; শেখ হাসিনার মুখে এসব কথা মানায় না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি’র গৃহীত কর্মসূচির শেষদিনেও ছিল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও উপজেলা শাখার তৃণমূল নেতাকর্মীদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি।
বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য সেলিমা রহমান আরও বলেন, ৭১’ থেকে ৭৫’র সময়ের মতোই খুন, গুম, হত্যা, নির্যাতনের মধ্যদিয়ে দমন-নিপীড়ন করছে আওয়ামী লীগ। ব্যাংক লুট করছে। সেই অন্ধকারের যুগে বাংলাদেশ। পাকিস্তানীরা যখন এদেশ ছেড়ে চলে যায়, তখন তারা দেশের বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবীদদের হত্যা করেছিল। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারেই শেষ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্রদের সাথে অস্ত্র দিয়েছে। নিজেরা জঙ্গী নাটক সাজিয়ে তারা একইভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে শেষ করেছে। এখন আওয়ামী সরকার সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন করে আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এতে তাদের শেষরক্ষা হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
নগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামিমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা বিএনপি’র মিডিয়া সেল কর্তৃক প্রকাশিত ‘প্রথম বাংলাদেশ’ ক্রোড়পত্রটির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
প্যানেল আলোচক হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও সমসাময়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের গণতান্ত্রিক যুদ্ধ চালিয়ে যাবার আহবান জানিয়ে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী আব্দুল বারী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আক্তার জাহান রুকু ও সাংবাদিক নেতা মুহাম্মদ আবু তৈয়ব।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মোঃ রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, বদরুল আলম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কেএম হুমায়ুন কবির, শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, মোঃ মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মোল্লা সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মোজাফফর হোসেন, বিকাশ মিত্র, জাবেদ মল্লিক, হাবিবুর রহমান, দীপক কুমার, আল আমিন সানা, ফখরুল আলম, আঃ রাজ্জাক, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, এ্যাড. মাসুম রশিদ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, অসিত কুমার, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল হক মিল্টন, একেএম শহিদুল আলম, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, মোঃ তারিকুল ইসলাম, খন্দকার ফারুক হোসেন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, সেলিম সরদার, মোঃ জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিল্টন, শফিকুল ইসলাম শফি, মোঃ আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মোঃ মুজিবুর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, সরদার আব্দুল মালেক, মাসুদ খান বাদল, শামসুল বারিক পান্না, যুবদলের আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ জাবীর আলী, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নূর ইসলাম বাচ্চু ও আজাদ আমীন, শ্রমিকদলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ ও আলমগীর তালুকদার, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, মেহেদী হাসান মিন্টু ও মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলাদলের এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু, কৃষকদলের মোল্লা কবির হোসেন, আক্তারুজ্জামান সজীব, শেখ আবু সাঈদ। শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ মাওলানা মোঃ জাহিদুর রহমান।
খুলনা গেজেট/কেডি