খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ল্যাব সহকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞাপন বহুল প্রচারিত জাতীয় পত্রিকায় দেওয়ার কথা থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সেটা যথাযথভাবে মানেনি। ওই কলেজের দু’শিক্ষক তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ২৮ মে খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ল্যাব সহকারী নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি ল্যাব সহকারী পদে একজনকে নিয়োগের ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বেসরকারী নিয়োগের বিধিমালা অনুযায়ী উক্ত পদের নিয়োগের ব্যাপারে বহুল প্রচারিত জাতীয় পত্রিকায় প্রচার করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ সেটা যথাযথভাবে করেনি। খুলনার একটি ও ঢাকার একটি প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যে পত্রিকা দু’টি নিয়মিত পত্রিকা স্টলে পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, কলেজের দু’শিক্ষক গোপনীয়তা রক্ষা করে বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে ইয়াছিন আরাফাত নামে একজনকে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দিতে চান। তাদের পরামর্শেই এমন দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে যাতে আগ্রহী প্রার্থীরা জানতে না পারেন।
তবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ দাবি করেন, “বেসরকারী নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করেই দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। ল্যাব সহকারীর নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জাতীয় পত্রিকায় দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পত্রিকায় দেওয়া লাগে। নিয়োগ প্রক্রিয়া ম্যাকানিজমের সাথে আমি জড়িত নই। কলেজের ভেতর কয়েকটি গ্রুপ আছে, যারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”