খুলনা-মোংলা ৬৫ কিলোমিটার রেল লাইন প্রকল্প তিন বছরের স্থলে ১০ বছরেও শেষ হয়নি। প্রকল্পের ২৫ শতাংশ কাজ এখনো বাকি। রেলপথ নির্মাণে প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এখন ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। ২০১০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে মোংলা থেকে মালামাল দেশের বিভিন্ন স্থানে আনা নেওয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। মোংলা বন্দর থেকে মালামাল ভারত সহ অন্যান্য দেশে পাঠানোর জন্য ২০১০ সালের সরকার এ প্রকল্প গ্রহণ করে। এ পর্যন্ত তিন দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। গতমাস পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, যথাসময়ে মালামাল সরবরাহ না হওয়া এবং রূপসা নদীর উপর রেলের সেতু নির্মাণে দেরি হওয়ায় ১০ বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্পের পরিচালনক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। যথাযথ মান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। ছোটখাট বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ও নক্সা প্রণয়নের জন্য ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রমে পাইলিং-এ জটিলতা মেটাতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। ৮টি স্টেশনের মধ্যে আড়ংঘাটা ও মোহাম্মদনগর স্টেশনের ছাদ শেষ হয়েছে। অন্যান্য স্টেশনের পাইলিং এর কাজ চলছে। ট্র্যাক নির্মাণ ও সিগন্যাল লাইনের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তিনি বলেন, অনভিজ্ঞ সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগের ফলে দীর্ঘসূত্রতা বাড়ছে।
আইএমইডি এর সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, জনগণের টাকার সর্বোচ্চ ব্যবহার ও দক্ষতার মাধ্যমে মান সম্পন্ন প্রকল্প সম্পন্ন করার চেষ্টা করব। আইএমইডি এ প্রকল্পের নিবিড় পরিবিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনিটরিং করছে। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে গতি বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারদের আইটিসি পরিষদ ও পরামর্শকদের বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন অপর এক গণমাধ্যমকে জানান, সঠিক মান বজায় রেখে প্রকল্প শেষ করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করা হচ্ছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল চলাচলের উপযোগী হবে। রেলমন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্পের মধ্যে খুলনা-মোংলা রেললাইন অন্যতম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই