ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা মহানগরীর সাবেক সভাপতি, ইবনে সিনা হাসপাতালের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম পিকু (৪৪) ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১ টার দিকে ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এখানে তাকে নয়দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মু. তারিকুল ইসলাম পিকু ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথমে প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে মেডিকেল চেকআপে লিভার সিরোসিস দেখা দিলে অল্পসময়ের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২০২১ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ভারতের হায়দারাবাদের এআইজি হাসপাতাল চিকিৎসা নেন। সেখানেও তার শরীরের কোন অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১৯ মার্চ দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে ঢাকার ইবনেসিনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৯ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
মরহুমের প্রথম নামাজের জানাজা তার কর্মস্থল রাজধানীর কল্যাণপুরস্থ ইবনে সিনা হাসপাতাল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তার কফিনবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি দুপুর দেড়টায় খুলনায় এসে পৌছায়। পিকুর কফিন দেয়ানা হাওলাদার বাড়িতে পৌছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য অবতারণা হয়। মাসুম তিন বাচ্চা, বিধবা স্ত্রী, স্বজন আর সহকর্মীদের আহাজারীতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এখানে উপস্থিত সবাই পিকুর কফিন দেখে বিলাপ করতে থাকেন। বাড়ি থেকে বিকালে পিকুর জানাজার জন্য কফিন দক্ষিণ দেয়ানা মাঠে নেয়া হয়।
সেখানে জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। জানাজায় মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজর রহমান, বাগেরহাট জেলা নায়েবে আমীর এডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদূদ, খুলনা উত্তর জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, খুলনা উত্তর জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, খুলনা মহানগরী সহাকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন কবু মোল্লা, সাংবাদিক নেতা মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিএল কলেজের সাবেক জিএস শহীদুল ইসলাম বন্দ, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, বিএল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলামসহ অসংখ্য মুসল্লী অংশ গ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই