খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কখনও স্থানীয় বা আঞ্চলিক হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্ব পর্যায়ের। আঞ্চলিক ও জাতীয় গন্ডি পেরিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বাঙ্গনে সম্পৃক্ত করে একটি শক্ত অবস্থান সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাস একাডেমিক ভবনের সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের সম্মেলন কক্ষে সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে আউটকাম বেজড এডুকেশন কারিকুলা সম্পর্কে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
উপাচার্য বলেন, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে (ঙইঊ) এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ টির মধ্যে ১৭ টি ডিসিপ্লিনের এ কারিকুলার কাজ শেষ হলো। আশা করা যায় চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট ডিসিপ্লিনের ওবিই শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু জীববিজ্ঞান বা বিভাগ প্রকৌশলে গবেষণা বাড়ালে হবে না, বৈশ্বিক পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, সমস্যা নিরসন ও সমাধানের পথ খুঁজতে সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও মানবিকেও গবেষণা বাড়াতে হবে। গবেষণা সহায়তার ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১ বছরে গৃহীত পদক্ষেপ তিনি উল্লেখ করেন। পরে উপাচার্য প্রণীত কারিকুলার কয়েকটি দিকে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নাসিফ আহসান, আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোছাঃ তাসলিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ। কারিকুলার সার্বিক দিক তুলে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মো: আব্দুল জব্বার। সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. তুহিন রায়। এসময় বিশেষজ্ঞ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাদিকা হালিম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক এবং আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালকদ্বয়, ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড