খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
করোনা শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ

খুলনা বিভাগে আক্রান্তের রেকর্ড যশোরে ২৯১ জন, মৃত্যু ৪

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে উঠে এসেছে যশোর। এসময়ে নতুন করে আরো ২৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে ও মারা গেছেন ৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে ৯ জনই ভারত ফেরত। এটি জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরসহ জেলার পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। মৃত্যুবরণকারী ৪ জনের মধ্যে দু’জন করোনা রোগী ও অপর দু’জন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃতরা হলেন, কেশবপুর উপজেলার কর্দপপুর গ্রামের ফজিলা খাতুন, ঝিকরগাছা উপজেলার কুমারী গ্রামের জাহানার বেগম, বাঘারপাড়া উপজেলার হাগড়া গ্রামের নূরজাহান বেগমসহ আরো একজন।

এদিকে শুক্রবার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের রেডজোনে ৮০ বেডের বিপরীতে ভর্তি রোগী রয়েছেন ৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪৩ জন, মহিলা ৩২, শিশু ১ জনসহ ভারত ফেরত রয়েছেন ৩৩ জন। এছাড়া ইয়োলোজোনে ১৯টি বেডের বিপরীতে ভর্তি রোগী রয়েছেন ৩৮ জন। এদেরমধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও মহিলা ১৩ জন। এদিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রেডজোনে অক্্িরজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে রোগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তারা দ্বিগ বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এসে সমস্যার সমাধান করেন। তবে কি কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছুই জানাতে পারেননি।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে যশোরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন চলছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনগনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, লকডাউন কার্যকরে সবরকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে বলে তিনি জানান। করোনার শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরে আরও একটি করোনা ডেডিকেটেট হসপিটাল প্রস্তুত করা হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেলে নতুন হাসপাতালে রোগী হস্তান্তর শুরু করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!