খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতির দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত পরিচালকসহ খুলনা পাসপোর্ট অফিসের চারজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা দুর্নীতির দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তলব করে চিঠি দেয়া হয়েছে।
কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালকের কাছে চট্টগ্রামে পরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় আবু সাঈদের বিরুদ্ধে সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়ার নেতৃত্বাধীন কমিটি কর্তৃক কোন বিভাগীয় তদন্ত সম্পন্ন হলে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ২০০৪ সালে অভিযুক্ত পরিচালক সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ঘুষের টাকা সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে ছিল কিনা। তাকে তখন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা। কিংবা তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা করন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা এই সংক্রান্ত তথ্যের রেকর্ডপত্র আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামের কাছে পাঠানোর জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে আগামী ৩০ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সুপারেনটেন্ট মুন্সি শহিদুল আলম, অফিস সহকারী আফসানা আনসারী ও পরিচালকের গাড়ীর চালক শামীম আহমেদকে খুলনা দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
অপরদিকে আগামী ৫ নভেম্বর বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কাছে বক্তব্য প্রদানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় উপস্থিত হওয়ার জন্যও পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি