জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে-সাথে বাসস্থানের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরও দু’টি আবাসিক এলাকার প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি আবাসিক এলাকার পরিধী দেড়শ’ একর করে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য এ প্রকল্প আগামী মাসে পূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
নগরীর পরিধী বাড়ার সাথে-সাথে ব্যক্তিপর্যায়ে আবাসন প্রকল্পের ব্যবসা চলছে। এক্ষেত্রে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে নান অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিতভাবে এসব আবাসন গড়ে উঠেছে। বিক্রি হয়েছে উচ্চ মূল্যে।
নিরালা আবাসিক এলাকার পেছনে ডুবি, খোলাবাড়িয়া, মাথাভাঙ্গা, লবণচরা ও হরিণটানা মৌজা নিয়ে নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠবে। নামকরণ করা হয়েছে নিরালা-২। চক মথুরাবাদ, চক হাসানখালী ও কৃষ্ণনগর মৌজা নিয়ে নতুন আবাসন প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে ময়ূরী-২। স্ট্যাডি রিপোর্ট ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ৭০ হাজার লোকের আবাসন হবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে-সাথে কেডিএ ইতিপূর্বে নিরালা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা-১ ও ২, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য মুজগুন্নী, শিরোমনি, মীরেরডাঙ্গা, নিবিড়, দৌলতপুর ও ময়ূরী নামে আবাসিক প্রকল্প গেড় তোলে। এসব প্রকল্পে তিন হাজার ছয়শ’ ৬৪টি প্লট রয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী সাবিরুল আলম জানান, নতুন দু’টি আবাসিক প্রকল্পের আনুষাঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আগামী মাস নাগাদ প্রকল্পের বিস্তারিত প্রতিবেদন উক্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে জমি হুকুম দখলের কাজ শুরু হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম