খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জান্নাতুল ফেরদৌস হত্যা মামলায় আনিসুল হককে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  খুলনা, বরিশালে আজ বৃষ্টি হতে পারে
অভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার

খুলনা ওয়াসার বিল নিয়ে নিত্য ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা ওয়াসার পানির বিল নিয়ে নিত্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। নিয়মিত পানির বিল না দেওয়া, ভুল বিল দেওয়া, প্রতি মাসে বিল না দিয়ে কয়েক মাসের বকেয়া বিল জরিমানাসহ একসঙ্গে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। প্রতিমাসে বিলের ভুল সংশোধন করতে ওয়াসা কার্যালয়ে হাজির হচ্ছেন অসংখ্যা গ্রাহক।

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা গ্রাহকদেরও নিয়মিত পানির বিল দেওয়া হচ্ছে। ওয়াসা অফিসে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও তার কোনো প্রতিকার মিলছে না।

গত কয়েকদিন ওয়াসার আঞ্চলিক অফিসগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পানির বিলের ভুল সংশোধন, গায়েবী বিলের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই ভিড় করেন গ্রাহকরা। কারও সমস্যার সমাধান হয়, বেশিরভাগকেই অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়। বছরের পর পর ধরে চলছে এই ভোগান্তি। সহজ সমস্যা রাজস্ব কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক সমাধান করেন। কিন্তু বর্ধিত বিলের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।

২০০৮ সালের ২ মার্চ খুলনা ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহ বিভাগের পুরাতন প্রায় ৮ হাজার গ্রাহক ওয়াসায় ন্যস্ত হয়। বর্তমানে ওয়াসার গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার।

গত ১৩ ডিসেম্বর ওয়াসার আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার পানির বিলের সমস্যা নিয়ে এসেছেন গ্রাহকরা। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা রোডের বাসিন্দা তপন কুমার দাস জানান, প্রতি মাসে তার ২৫০/৩০০ টাকার ভেতরে বিল আসে। কিন্তু নভেম্বরে একসঙ্গে ১ হাজার ১৩৬ টাকা বিল করেছে। অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, বিগত কয়েক মাস ০, ১ ইউনিট করে বিল করেছে। সেটা সমন্বয় করতে নভেম্বরে একসঙ্গে বেশি বিল করেছে। পরে তাকে সংশোধন করে ২৩৮ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে।

একই সমস্যা ছিলো নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের বয়রা মসজিদ রোডের বাসিন্দা নেয়ামত উল্লাহর। তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার বাড়িতে শূন্য ইউনিট বিল করেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ওয়াসা অফিসে অভিযোগ করেছি। অক্টোবর মাসেও শূন্য বিল করেছে। তিনি বলেন, আগেও অনেকবার এমন হয়েছে। একসঙ্গে অনেক টাকার বিল পরিশোধ করতে পারবো না। তাই অফিসে গিয়ে বিল ঠিক করে এনেছি। প্রায়ই তারা এমন ভোগান্তিতে ফেলে।

ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক এম খাদেমুল ইসলাম বলেন, এখন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ছবি তুলে মিটার রিডিং সংগ্রহ হয়। সেখানে ভুল হওয়ার সুযোগ কম। মিটার না দেখে শূন্য বিল বা কয়েক মাসের বিল একসঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক বাড়ি তালাবদ্ধ থাকলে মিটার রিডাররা মিটার দেখতে পায় না। এসব ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!