খুলনা এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেড (ইডিসিএল) এর ডিজিএম (এডমিন) মোঃ শফিকুল ইসলাম বারীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ।
এর আগে খুলনা এসেনসিয়াল ড্রাগসের ভান্ডার বিভাগের নারী কর্মী শ্রাবনী কেয়া (২৬) বাদি হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধীত-২০০৩) খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৩।
খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার সময় আসামিকে গোপালগঞ্জ এর মুকসুদপুর থানার দক্ষিণ চন্ডিবর্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের মাত্তমডাঙ্গাস্থ এ্যাসেনসিয়াল ল্যাটেক্স প্লান্ট, উৎপাদন (শ্রমিক) পদে যোগদান করেন। এক বছর আগে মোঃ শফিকুল বারী ডিজিএম (এডমিন) হিসাবে বগুড়া অফিস থেকে খুলনা এ্যাসেনসিয়াল ল্যাটেক্স প্লান্ট খুলনায় যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে মোঃ শফিকুল বারী বিভিন্ন কাজের অজুহাতে কেয়ার কাছে আসতো। কাজের ক্ষেত্রে অফিসের বিভিন্ন জায়গায় দেখা হলে কেয়াকে কু-প্রস্তাব দিত। কেয়া তাকে সবসময় এড়িয়ে চলতো। গত ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় কেয়া প্রতিষ্ঠানের ভান্ডার বিভাগে ষ্টেশনারী শাখায় কাজ করছিলেন। হাতের কাজ শেষ করে ওয়াশ রুমে যাওয়ার সময় ভান্ডার বিভাগে ষ্টেশনারী শাখার কাছ থেকে আসামি শফিকুল তাকে দেখামাত্র ডাক দিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে সামনে থেকে ঝাপটে ধরে এবং বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করে। ঘটনার দিনই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডিজিএম প্লান্ট-মোঃ মনিরুল ইসলাম কে বিষয়টি ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান কেয়া ।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে খুলনা এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেড (ইডিসিএল) এর নারী কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে শুরু করে । পরিস্থিতি খারাপ দেখে কৌশলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যায় ডিজিএম (এডমিন) মোঃ শফিকুল ইসলাম বারী। এরপর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই