আগামী ৭-১২ জানুয়ারি দেশব্যাপী জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২৩ পালন করা হবে। এ উপলক্ষে আজ (বুধবার) সকালে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সভাকক্ষে খুলনা জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত বিরতিতে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের জনস্বার্থের জন্য হিতকর এই উদ্যোগকে সফল করতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এই কাজের সাথে যুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিন্নমূল পথশিশুদেরও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে। সবার অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রচেষ্টার দ্বারা জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফল হবে বলে আশা করা যায়। সুস্থ জাতি গঠনে সরকারের এ উদ্যোগ বিশেষ অবদান রাখবে।
সভায় জানানো হয়, ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুইবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহ চলাকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫-১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত শিশু, পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে। এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ার পর শিশুরা বমি করলে ভয়ের কিছু নেই। কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।
সভায় আরো জানানো হয়, আগামী ৭-১২ জানুয়ারি জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার দুই হাজার তিনশত তিনটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার তিনশত দুইজন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
সভায় জেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিকেল অফিসার মোঃ সাবেতুল ইসলাম, ডাঃ ফাহরিন ফাতমি জাহান, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তাসহ এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম-এর সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এ সভার আয়োজন করে।