খুলনা জেলার চার উপজেলায় অবস্থানরত বিদেশী ১৭ নাগরিককে এ মাসে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তাদের আবাসস্থলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সাদা পোশাকেও নজরদারি করছে। ক্ষেত্র বিশেষ পুলিশি টহলও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নগরী সংলগ্ন পীর খান জাহান আলী (রঃ) সেতুতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের সূত্র জানায়, ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিদেশীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে জেলা পুলিশ নির্দেশনা দিয়েছে। দিঘলিয়ায় ফিলিপাইনের নাগরিক একজন গৃহিনী, বটিয়াঘাটায় খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটিতে আমেরিকার নাগরিক প্রধান চিকিৎসক সহ তার সাত সদস্যের পরিবার, ডুমুরিয়ার গির্জায় দু’জন ইতালিয়ান নাগরিক এবং দাকোপে জাইকা প্রোজেক্টে ব্রিটিশ, ইতালি ও চীনের সাত জন নাগরিক অবস্থান করছেন।
এই সূত্র আরও জানায়, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, টেলিফোন ভবন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিলে সেন্টার, শিপইয়ার্ড, ট্রেজারি ভবনেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
এ মাসের শুরুর থেকে বিরোধী রাজনীতিকদের ওপরেও নজরদারী চলছে। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি উপজেলা পর্যায়ে ঘোরাফেরা করলে তাকেও প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ১৫ আগস্ট ও ১৭ আগস্টকে সামনে রেখে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য জেলার নয় থানা, ২৪ ক্যাম্প ও চারটি পুলিশ ফাঁড়িকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশী নাগরিকদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের বাইরে চলাচল না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তাসহ প্রতিদিনের পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই