জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৬ নভেম্বর হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ অফিসের আশেপাশে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন নেতার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটিতে ক্লীন ইমেজের নেতৃত্ব দেখতে চায় তৃণমূল কর্মীরা।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল গুহ। প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।
১৫ বছর পর নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সভাপতি পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা মীর বরকত আলী ও এম এ নাসিম। সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান রাসেল ও আহমেদ ফিরোজ ইব্রাহীম তন্ময়।
সম্মেলনের বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী মীর বরকত আলী এ প্রতিবেদককে জানান, কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। কাউন্সিলে নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
অপর সভাপতি প্রার্থী এম এ নাসিম জানান, নেতৃত্ব নির্বাচনে মূল দলের নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। নীতি নির্ধারকের বাইরে তার নিজস্ব কোন মতামত নেই।
অন্যদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি প্রার্থীরা হচ্ছেনা, মো: মোতালেব হোসেন, খান সাইফুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম রেজা। সাধারণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মিজান, রাসেল ভুলু ও আজিজুর রহমান রাসেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: মোতালেব হোসেন জানান, ছাত্রজীবন থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। দল কাউন্সিলর পদেও মনোনয়ন দিয়েছে। ত্যাগী কর্মী হিসেবে আমি সভাপতি পদের দাবীদার।
একই পদের প্রার্থী রেজাউল করিম রেজা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে তিনি দাবি করেন। সকল দিকের মূল্যায়নে তিনি এ পদের দাবিদার।
২০১৯ জেলা কমিটির সর্বশেষ সম্মেলনে মালিক সরোয়ারকে আহবায়ক, মো: মোতালেব হোসেন ও খান সাইফুল ইসলামকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ২০২০ সালে মালিক সরোয়ারের মৃত্যুর পর এ পদ শূন্য রয়েছে।
২০০৬ সালে নগর কমিটির সর্বশেষ সম্মেলনে শেখ মোশারেফ হোসেনকে সভাপতি ও জেড এ মাহমুদ ডনকে সাধারণ সম্পাদক ও মীর বরকত আলীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএ