খুলনায় ঈদের প্রথম দিনে শুক্রবার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। করোনার মহামারির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে এসব কেন্দ্রগুলোতে ছিল ঈদের উৎসবমুখর পরিবেশ।
নগরীর খানজাহান আলী সেতু (রূপসা ব্রীজ), রূপসা ঘাট, নতুন রেলস্টেশন ও ৭নং ঘাটসহ সকল বিনোদন স্পটেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নগরীর বাসিন্দারা এ সকল বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় জমান। ঈদ উপলক্ষে নতুনরূপে সজ্জিত বিনোদন কেন্দ্রে শিশু-কিশোরেরা নিজেদের আরও রঙিন করে তুলেছে। নতুন পোশাকে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণীর মানুষ এসব বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে সময় কাটিয়েছেন। তবে অধিকাংশ বিনোদন পিপাসুদের মুখে নেই মাস্ক, নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরীর বয়রা এলাকা থেকে ৭নং ঘাটে ঘুরতে আসা সফিকুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে সন্তানদের নিয়ে কোথাও সাধারণত যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। এজন্য ঈদের ছুটিতে একটু ঘোরাঘুরি।
নতুন রেলস্টেশনে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিধি নিষেধ থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ছিল জনস্রোত। ভিড় জমিয়েছে শিশু-কিশোর, তরুণ তরুণীর পাশাপাশি বয়স্করাও। নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা থাকলেও অধিকাংশই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি নিরাপত্তা কর্মীদেরও ছিল না মাস্কের ব্যবহার।
রূপসা ফুডকোর্টে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। এখানে ঘুরতে আসা দীপ্ত বলেন, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বন্ধু ও বড় ভাইদের সাথে ঘুরেছি।
নীলা আক্তার বলেন, সচেতনতা যার যার তার তার, আমিও আমার জায়গা থেকে মাস্ক পড়ে আসছি। অন্যরা না পড়লে তার দায়িত্ব আমি নেবো কিভাবে?
তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত সকলের নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। রূপসা ফুড কোর্টের চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল হাসান বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়েই সবাইকে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছি। এখানে কেউ যদি মাস্ক পড়ে না আসে তাহলে তাকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।
এদিকে তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষের স্রোতে রূপসা সেতু এলাকা উৎসবের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে এসে কেউবা তুলছেন সেলফি, কেউবা নিজ ও প্রিয়জনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন স্মৃতির পাতায়। সেতুর দুই পাড়ে বসে নানা বয়সের মানুষ উৎসবমুখর আড্ডায় মেতে উঠেছে। এখানে স্বাস্থ্যবিধির নেই বালাই।
এখানে মুজগুনি এলাকা থেকে ঘুরত আসা আফরিন জারা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ঘর থেকে বের হতে পারি নাই, আজ ঈদ তাই একটু ঘুরতে আসলাম।
খুলনা গেজেট/এনএম