খুলনায় শুরু হয়েছে এক টাকায় আহার বিতরণ কার্যক্রম। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলাখানা ঘাটের ওপারে রাজাপুরের একটি বস্তিতে এক টাকায় শতাধিক হত দরিদ্র মানুষকে আহার দিয়েছে বিদ্যানন্দ। এক টাকায় আহারের মধ্যে ছিলো ভাত ও মুরগির মাংস।
১০৫ জনকে এ খাবার দেওয়া হয়। প্রতিদিন এ কার্যক্রম চলবে। শুধু মাত্র দরিদ্র, অসহায় ও বঞ্চিতদের এ খাবার দেওয়া হবে। আজ ভাত আর মুরগির মাংস দেওয়া হয়েছে।
আর আগে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) খুলনার ফুলবাড়ি গেটে এ্যাজাক্স জুট মিল শ্রমিকদের শিশু ও দৌলতপুর মহেশ্বরপাশায় জোড়া খাসির মাংস ও ভাত দিয়ে খুলনায় এক টাকায় আহার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওই দিন ২৫০ শিশু ও বৃদ্ধদের খাবার নেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা জানায়, এক বেলার এই খাবার যেন অসহায় মানুষেরা ভিক্ষাবৃত্তি বলে মনে না করেন এজন্য সবার কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক টাকায় এক প্যাকেট খাবার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা দরিদ্র মানুষগুলো।
বিদ্যানন্দের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবক খুলনার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যেহেতু দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। এসব এলাকায় ইতিপূর্বে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনায় স্থায়ীভাবে কাজ করার জন্য কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জোড়া খাসি দিয়ে এক টাকার আহারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বপাড়া রূপসায় ১৩ আগস্ট শুক্রবার সকালে সবুরণনেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ১০৫ জন অসহায় দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে এক টাকার আহার বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রতিটি শিশু এক টাকার বিনিময় এই খাদ্য গ্রহণ করে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন খুলনা শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সম্রাট বলেন, ১ আগস্ট খুলনার সোনাডাঙ্গা গোবরচাকা মোল্লাবাড়ি মোড়ের শিকদার প্লাজায় অফিস নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এখন থেকে খুলনা শাখার আওতায় প্রতিদিন এক টাকায় আহার বিতরণ করা হবে। শুধু দরিদ্র, অসহায় ও বঞ্চিতদের এ খাবার দেওয়া হবে।
পাশাপাশি ত্রাণ বিরতণ কার্যক্রম চলবে। তবে বৃহস্পতিবার প্রথম জোড়া খাসি রান্না করে এক টাকায় আহার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো জেলখানাঘাটের নদীর ওপারে এক টাকায় আহার বিতরণ করা হয়। এছাড়া আজ আমরা সাতক্ষীরার গাবুরা ও কয়রার গেতেরঘেরীতে ত্রাণ বিতরণ করেছি বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যেহেতু দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। এখানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। এখানকার উপকূল অঞ্চলের মানুষের ক্ষতি বেশি হয়। তাদের পাশে দাঁড়াতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই/এমএম