চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব। এরপর থেকে এখন অবধি বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাসায় সারাক্ষণ থাকতে একঘেয়েমি ভাব চলে আসছে শিশুদের। যার ফলে শারীরিক এবং মানষিক বিকাশেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তারা।
খুলনাতে শিশুদের জন্য উপযোগী নেই কোন পার্ক। এসব চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখে খুলনায় ইনডোর খেলাঘরের যাত্রা শুরু করেছে বেবী ড্রিম এবং কিডম্ ক্লাব নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের কার্যক্রম শুরু হলেও করোনার কারণে তারা থমকে যায়। গত আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি পুনরায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
নগরীর এম এ বারি সড়কেই প্রতিষ্ঠানটির দুটোর কার্যক্রম চলছে। ৬মাস থেকে ১২ বছরের শিশুদের মনের মতো করে সাজানো হয়েছে ইনডোর খেলাঘরগুলো। চীন এবং ঢাকা থেকে আনা হয়েছে শিশুদের জন্য খেলনাসহ নানান রাইড। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বল হাউজ, গলফ কোর্ট, জিপ লাইন (কেবল তার), ট্যাম্পলিং, দোলনা, টয় হাউজ, কার সিটি, বিউটি পার্লার, সুপার সপ, কিচেন, সি বিচ, মেরি গো রাউন্ড, ফিশিং, বিলিয়ার্ড বোড, ট্রি হাউজ, ট্যানেল ট্রেন, বিগ স্লাইড, বারবি ক্যাসালসহ নানবিধ রাইড ও খেলনার আয়োজন রয়েছে।
প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইনডোর খেলাঘরগুলো খোলা থাকে। অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে সেখানে যান বিনোদনের জন্য। টিকিটের মাধ্যমে শিশুরা এ রাইডগুলো উপভোগ করতে পারবে। ন্যূনতম ৩০ মিনিটে ১’শ টাকা, এক ঘন্টায় ১৮০-২০০ টাকায়।
দৌলতপুরের গৃহীনি সাইমা জ্যোতি জানান, শিশুদের জন্য খুলনায় ভাল কোন পার্ক বা বিনোদনের জায়গা নেই। এই ইনডোর খেলাঘরগুলো শিশুদের জন্য খুবই সময় উপযোগী। এতে করে শিশুদের শারীরিক ও মানষিক বিকাল বাড়বে।
কিডস্ ক্লাবের মালিক শেখ মসিউর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে তিনি এই ইনডোর খেলাঘরের যাত্রা শুরু করেন। তবে করোনার কারণে অনেকদিন বন্ধ রাখতে হয়। তার স্ত্রী রুবায়েত রহমান এটা দেখাশুনা করেন। শিশুরা নিরাপদে এখানে বিনোদন পাচ্ছে। অভিভাবকদের মধ্যেও সাঁড়া অনেক।
বেবী ড্রিমসের মালিক আব্দুর রহমান চৌধুরী মাসুম বলেন, তিনি ঢাকায় চাকুরি করতেন। হজ¦ থেকে আসার পর ব্যবসার করার পরিকল্পনা করেন। খুলনায় স্ত্রী রিফাত আরার বাড়ি। সেই সুবাদে খুলনায় ব্যবসার পরিকল্পনা শুরু গেল ফেব্রুয়ারিতে। তিনি বলেন, ঢাকাসহ বিদেশে শিশুদের জন্য এ ধরণের ইনডোর খেলাঘর আছে। তবে খুলনায় ছিল না। শিশুদের খেলাধুলার উপযোগী এমন সুবিধা পেয়ে অভিভাবকরাও উচ্ছ্বাসিত।
খুলনা গেজেট / এমএম