খুলনায় লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী (৪০) হত্যা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছে অদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে এ মামলার অপর আসামি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচার কার্য চলছে।
লস্কর আইয়ুব আলী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম মোঃ রায়হান সরদার, সে যশোরের চাঁচড়া এলাকার মৃত হাকিম সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সকাল পৌনে ৬ টায় লঞ্চ এমভি আদিবা খান কয়রা উপজেলার ভান্ডার পোল এলাকায় পৌঁছায়। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নামতে শুরু করলে দু’জন যাত্রী তাদের টিকিট দেখাতে পারেনি। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর দেয় চালনা থেকে এসেছে। তখন লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী বলেন যে তারা খুলনা থেকে উঠেছে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান পকেট থেকে ছুরি বের করে আইয়ুবের তল পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিলে তিনি লঞ্চের ওপর লুটিয়ে পড়েন। পরে কেরানি এগিয়ে আসলে অপর আসামি তামিম হাসান আকাশ পকেট থেকে ছুরি বের করে তার ওপরও চড়াও হয়। উপস্থিত জনতা তাদের দুই জনকে গণধোলাই দিয়ে আমাদি পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে। আহত আউয়ুব আলীকে প্রথমে জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরের দিন ওই ঘটনায় লঞ্চ মাষ্টার মোঃ আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং-৬।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের ৩০ নভেম্বর রায়হান সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এ মামলায় ১৮ জনের সক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি এনামুল হক ও এপিপি এপিপি এম ইলিয়াস খান।
খুলনা গেজেট/এনএম