খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে। মেয়র পদে ৪ জনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে পরিবেশ পরিস্থিতি ও গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের ওপর। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের সাফ বক্তব্য তত্ত্বধায়ক সরকার ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না।
শাসক দলের পক্ষ থেকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করার পর ইসলামী আন্দোলন নড়েচড়ে বসে। এমাস থেকে ভেতরে ভেতরে তৎপরতা শুরু হয়। গত ৫ আগস্ট গোয়ালখালীতে নগর কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক সভায় ৪জন মেয়র প্রার্থীর নাম প্রস্তাব হয়। প্রার্থীরা হচ্ছেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আওয়াল, নগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, সহ-সভাপতি মুফতি মাহাবুবুর রহমান ও নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন।
২০১৮ সালের সর্বশেষ কেসিসি’র নির্বাচনে মেয়র পদে দলের প্রার্থী মাওঃ মুজাম্মিল হক ১৪ হাজার ৩শ ৬৩ ভোট পান। দলের সূত্র বলেছে ৪ বছরের আগের তুলনায় নগরীতে সাংগঠনিক শক্তি বেশ বেড়েছে। বিশেষ করে ৯, ১৬, ১৭, ১৮, ২১, ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডে জনসমর্থন ও কর্মী বেড়েছে। এসব স্থানে সাংগঠনিক কাঠামো বেশ মজবুত।
নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসিরউদ্দিনের দেওয়া তথ্য মতে, মেয়র পদে ৪জন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। চরমোনাই পীর ও দলের আমিরের নির্দেশনা মোতাবেক কেন্দ্রীয় আমেলা খুলনার মেয়র পদে একজন প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া নির্ভর করছে গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর। প্রার্থী চূড়ান্ত হলে কর্মীদের কাছে এ বার্তা পাঠানো হবে।
তিনি জানান, ১৭ নং ওয়ার্ডে যুব আন্দোলনের নগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও ২৬নং ওয়ার্ডে দলের ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আকবার আলী পাঠানের নাম কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে। অন্যান্য ওয়ার্ডেও প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি