খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিটি কর্পোরেশনে মুজদকৃত দু’ধরণের করোনা টিকার মেয়াদ অক্টোবরে শেষ হচ্ছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ৬৯ হাজার ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। উল্লিখিত দু’টি টিকা হচ্ছে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক্স।
করোনা নির্মূলে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলনায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের বেশিরভাগ সময় খুমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়। প্রথমদিকে দীর্ঘ লাইন ও টিকার কদর থাকলেও এবছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সেই অবস্থা নেই। গত দেড় বছরে খুলনা জেলায় মর্ডানা, ফাইজার, এ্যাস্ট্রোজেনিকা, সিনোফার্ম, জনসন, সিনোভ্যক্স ও ফাইজার (শিশু) টিকা দেয়া হয়। প্রথমদিকে পূর্ণ বয়স্কদের টিকা দেয়া হলেও শেষদিকে শিক্ষার্থী ও শিশুদের টিকা দেয়া হয়। এপর্যন্ত ৪৯ লাখ ২৯ হাজার ২শ’ ৫৩ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়। ৭৮ শতাংশ ব্যক্তি ১ম ডোজ, ৭১ শতাংশ ২য় ডোজ এবং ৩৬ শতাংশ ব্যাক্তিকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়।
জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মজুদকৃত ২৯ হাজার ৮৫২ ডোজ সিনোফার্ম টিকা আগামী ২৪ অক্টোবর এবং ৪০ হাজার ৯শ’ ৬১ ডোজ সিনোভ্যাক্স টিকার মেয়াদ ২৬ অক্টোবর শেষ হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ দিনে পরবর্তী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ কর্মসূচিতে ১ লাখ লোককে টিকা প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা ২০৪টি কেন্দ্রে এবং নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে টিকা প্রদান করা হবে।
করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ৫ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ৩য় ডোজ নিতে উদ্বুদ্ধ করা এবং বদ্ধ স্থানে সভা-সমাবেশ না করা।
আইইডিসিআরএর পরিচালক তহমিনা শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, টিকা গ্রহণ করলে করোনা সংক্রমণ কমবে। এসূত্র বলেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে মৌসুমী জ¦র ও ইনফ্লুয়েঞ্জা বাড়ে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্ট মাসে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ করোনা পজিটিভ ছিল। মে মাসে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তিনি বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে। করোনা নির্মূলে সবাইকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করতে স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সকাল ৯টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত একটি টীম প্রতিদিন কমপক্ষে ৫শ’ জনকে টিকা প্রদান করবে। গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী মা টিকা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন।