পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে খুলনা মহানগরীর কাপড়ের মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সরগরম বাড়লেও খুশি নয় ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতাদের অভিযোগ, ক্রেতাদের আগমন বেশি থাকলেও সে তুলনায় বিক্রি কম।
সরেজমিনে মহানগরীর ক্লে রোডে অবস্থিত খুলনা বিপণী কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোতে ক্রেতাদের চোখে পড়ার মত ভীড় লেগেই আছে। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দমত কাপড়চোপড় কিনছেন। কেউ বা পছন্দের কিছু না পেয়ে ছুঁটছেন অন্য জায়গায়। তবে কিছু ব্যবসায়ীকে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, কেনার থেকে ক্রেতারা দেখে চলে যায়। এসময় ব্যবসায়ী ও ক্রেতা কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। ছিলোনা সামাজিক দূরত্বের বালাই।
খুলনা বিপণী কেন্দ্রের হাফিজ ফেব্রিকসে কথা হয় কর্মচারী মোঃ খলিলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে ছিট কাপড় ভালই চলে। গতবছর লকডাউনের পর থেকে কেনাবেচা নেই। যে কারণে এবারের বৈশাখকে সামনে রেখে আমাদের তেমন কোন প্রস্তুতিও নেই।
একই মার্কেটের ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ক্রেতাদের মার্কেটে আসা যাওয়া থাকলেও বিক্রি কম। বৈশাখের পর আশা রমজান নিয়ে।
নিজের জন্য ছিঁট কাপড় কিনতে এসেছিলেন খুলনা মহানগরীর দোলখোলা এলাকার বাসিন্দা তাহমিদা আক্তার। তিনি বলেন, নিজের জন্য কিছু কাপড় কিনতে এসেছি। কেনাকাটা প্রায় শেষ হয়েছে। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকায় একটু আতংকে রয়েছি।
খুলনা বিপণী কেন্দ্র দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম বলেন, পহেলা বৈশাখ নিয়ে এবার আমাদের তেমন মাতামাতি নাই। সামনে রোজার সিজন, গতবছর রমজানে করোনার জন্য আমাদের কাপড়ের ব্যবসা ভালো ছিল না। তবে এ বছর সামনে কী হবে বলা যাচ্ছে না। খবর পাচ্ছি করোনা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা বছর যে দমটা নিয়ে ব্যবসায়ীরা টিকে আছে। আবারও যদি লকডাউন দেওয়া হয়। তাহলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী পঙ্গু হয়ে যাবে। তারা ব্যবসায় টিকতে পারবে না। সারাটা বছর ১১ টা মাস পুরো ব্যবসায়ী লসে আছে। এই রোজার একটা মাস দোকানদারি করে ব্যবসায়ীরা কিছুটা লস পুশিয়ে নেন।
খুলনা গেজেট/কেএম