খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ‘হেলথ গার্ডেন’ নামের একটি ক্লিনিক থেকে এক হাজার ৬৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ গ্রাম গাঁজা এবং গাঁজা-ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি ও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক সুমন রায়ের কক্ষ (চেম্বার) থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ সময় সেখান থেকে আসাদুজ্জামান হিরা ও অথৈ নামের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। যৌথভাবে ওই অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই হাসপাতালের অংশিদার ডাঃ সুমন রায়ের কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূর। তিনি বলেন, ডাঃ সুমন রায়ের কক্ষ থেকে ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বিদেশি মদের বোতল ও গাঁজা এবং ইয়াবা সেবনের উপকরণ পাওয়া গেছে। এ কারণে ওই কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আটক হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হবে।
ডাঃ সুমন রায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের খুলনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক এবং বিএমএ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর।
ক্লিনিকের মালিক খন্দকার আহসান উল্লাহ বলেন, সুমন রায়ের ওই ক্লিনিকে মালিকানার কোনো অংশিদারিত্ব নেই তাকে ক্লিনিকের কাজের অংশিদারিত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ক্লিনিকে তাঁর নিজস্ব চেম্বার থেকেই ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এমন ঘটনার পর তাঁকে আর ক্লিনিকে রাখা হবে কী না তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। যে দুই জনকে আটক করা হয়েছে তাঁরা হাসপাতালের কোনো স্টাফ নয়, তাঁরা সুমন রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী।
সুমন রায় বলেন, তিনি দুপুরের দিকে ডুমুরিয়া উপজেলায় নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন। বিকেলের দিকে হঠাৎ শোনেন তাঁর কক্ষে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যে দুই জন আটক হয়েছে তাঁদের কাছেই কক্ষের চাবি ছিল। তাঁরাই কিছু করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
ভিডিও দেখুন :
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ