সারাদেশের ন্যায় খুলনার ৬ আসনে সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ভোটারদের আনাগোনা। একেক করে ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে ভোটাররা। সরেজমিনে খুলনা-৪ আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে এমনটিই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য ভোটকেন্দ্রের মত দিঘলিয়া এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজ ও দিঘলিয়া (দঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সরকার এম এ মজিদ ডিগ্রী কলেজ পুরুষ কেন্দ্রে ৩০০ জনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় লোকমান শেখ ভোট দেয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ভোট দিয়ে বের হলাম। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট দিতে আসার পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করে নাই।
উল্লেখ্য, খুলনার ৬ আসনে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনাদের বয়কটের মধ্য দিয়ে এ ভোটে দুজন নারীসহ ৩৯জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ছয়টি আসনের মধ্যে দুটি মহানগরীর ও বাকি চারটি জেলা সীমানায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে ১২২টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১৫টি পর্যবেক্ষক টিমকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভোট চলাকালে ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি এম ডি ওমর একটি আসনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে এক প্রেস ব্রিফিং করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে মোট ভোটার রয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮১ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১ হাজার ২ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৯ জন। এ বছর জেলার ৬টি আসনে ৭৯৩টি ভোট কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৭২০টি ভোট কক্ষ থাকবে। ৬টি আসনে এবার গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৩১টি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনে খুলনা জেলার ৬টি আসনে ৫ হাজার ২২৫ জন পুলিশ, ৯ হাজার ৫১৬ জন আনসার, ৯৬ জন র্যাব সদস্য, ১৯ প্লাটুন বিজিবি, ৫৯৬ জন কোস্টগার্ড সদস্য, ৬৪৬ জন দফাদার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশের সদস্যরাও রয়েছে। তাছাড়া মহানগরী ও উপজেলা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ৬০০ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ৪৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭৯৩টি।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, জেলার রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় একাধিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম