খুলনায় কঠোর বিধি নিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ (৫ জুন)। কিছু কিছু বন্ধ দোকানের সামনে দাড়িয়ে বা বসে রয়েছেন মালিক-কর্মচারী। এসব দোকানের সাটার বন্ধ থাকলেও অভিনব পদ্ধতিতে চলছে বেচাকেনা।
ডাকবাংলো মোড়ের সকল দোকানপাট বন্ধ, খোলা রয়েছে ফলের দোকান। বন্ধ রয়েছে খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, রব মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেটের কাপড়ের দোকানগুলো। সকাল দশটায় কিছু সময়ের জন্য সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিমকে।
বন্ধ রয়েছে স্টেশন রোডের অধিকাংশ হার্ডওয়্যারের দোকান। কেউ কেউ অর্ধেক সাটার নামিয়ে বসে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়।
এদিকে পিকচার প্যালেস থেকে সম্রাট বাজারের মোড় পর্যন্ত সকল মোবাইলের দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে বন্ধ দোকানের সামনে দাড়িয়ে পথচারীদের ইশারায় ডাকছেন কর্মচারীরা। পুলিশ সদস্যের সামনেই জে এস টেলিকম, মায়ের দোয়া টেলিকম, খান টেলিকমসহ বিভিন্ন দোকানে এভাবেই বেচাকেনা করছে।
যথারীতি খোলা রয়েছে বড় বাজারের মুদি দোকানগুলো। অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক ক্রেতাদের ভিড় কম থাকলেও মাস্ক নেই অধিকাংশের মুখে।
ভিন্ন চেহারা বড় বাজারের পাইকারি ছিট-কাপড়ের দোকান গুলোর। অর্ধেক সাটার নামিয়ে চলছে কেনা বেচা। কখনো সাটার অর্ধেক খুলছে, আবার বন্ধ হচ্ছে। এখানেও কর্মচারীরা চোখের ইশারায ডাকছেন পথচারী ও ক্রেতাদের। ম্যাজিস্ট্রেট আতঙ্কে দোকানীদের সজাগ দৃষ্টি বাজারের প্রবেশ মুখে। তবে বেলা বারোটা পর্যন্ত সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে চোখে পড়েনি।
এদিকে ক্লে রোডের কসমেটিকসের দোকানগুলোর সাটার বন্ধ রেখে ভেতরে চলছে বেচাকেনা। অধিকারী ব্রাদার্স, গ্রীন কসমেটিকস সহ কয়েকটি দোকানে এভাবেই চলছে লকডাউনে দোকানদারি। কাষ্টমার আসলেই খুলছে সাটার, দোকানে ঢুকিয়েই সাথে সাথে বন্ধ হচ্ছে।
খোলা রয়েছে হেরাজ মার্কেট। ঔষুধের দোকানগুলোতে কাষ্টমারের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মত।
নগরীর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কঠোর বিধি-নিষেধ জারি হলেও সচেতনতা নেই সাধারণ মানুষের মাঝে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে দোকান খোলার অপরাধে নগরীর স্যার ইকবাল রোড়ের একটি দোকানে জরিমানা ও সীলগালা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বেলা এগারোটায় স্যার ইকবাল রোডের কার্ড সেন্টার খুলে বেচাকেনা শুরু করে। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম সেখান থেকে যাওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ী দেখে দোকান মালিক কর্মচারীকে রেখে সটকে পড়েন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাঈল হোসেন দোকান মালিককে না পেয়ে কর্মচারী বাবুকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর পর পুলিশে পাহারায় দোকানটি সীলগালা করে দেয়া হয়।
দোকান কর্মচারী বাবু জানান, মালিকের নির্দেশে দোকান খোলা হয়েছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট দোকান খোলা পেয়ে সীলগালা ও জরিমানা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম