হেমন্তের আকাশ দখল করে নিয়েছে মেঘ, আর দৃষ্টিসীমায় কুয়াশা। শেষ অগ্রহায়ণে প্রকৃতিতে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে অবশেষে আসতে শুরু করেছে শীতের হিমেল বাতাস। হেমন্তের শেষেও শীতের আমেজে কুয়াশার চাঁদর মোড়ানো সকাল দেখে অনেকেই কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল চারপাশ। সকাল ১০টা গড়িয়ে গেলেও খুলনায় দেখা মেলেনি সূর্যের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, ঋতু বদলের কারণে খুলনাঞ্চলে ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন, মেঘ আর শীতল বাতাস বইছে। আর এতে আরও বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
এই পূর্বাভাস বলছে, খুলনাতে আগামী দুই থেকে তিনদিন এমন পরিস্থিত থাকতে পারে। তারপর থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার আকাশ থেকে মেঘ সরে যাবে। কুয়াশাও কমে আসবে। এরপর শীত বাড়তে থাকবে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক শূণ্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোর থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার রাজত্ব থাকায় সব ধরনের যানবাহনকে চালাতে হয় হেডলাইটের আলো জ্বালিয়ে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় নগরীর সড়কগুলোতে যানগুলো চলছিল ধীর গতিতে।
সূর্যের দেখা না মেলায় হিমেল হাওয়ার কারণে কনকনে শীতে নাকাল হয়ে পড়েন মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে উপকূলীয় জেলা খুলনার নদ-নদীতে নৌযান চলাচলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
নগরীর র্যায়েল মোড় এলাকার এটিএম বুথের গার্ড রিচার্ড সরকার বলেন, শেষ রাত থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকালে একটু দুরের বস্তুও সহজে দৃষ্টিগোচর হয়নি। তবে ঘন কুয়াশা পড়লেও শীতের তীব্রতা তেমন ছিল না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া শিক্ষার্থী সাদিয়া চাঁদনী জানান, সহনীয় শীতের আবেশে ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দপতন ঘটছে।
তবে অগ্রহায়ণের মেঘে কুয়াশা মোড়ানো সারাদিনের সোনালি রোদ লুকিয়ে থাকায় এ অঞ্চলের অনেকেই প্রকৃতিকে উপভোগ করেছেন অন্যরকমভাবে। অনেকে বাড়ির ছাদে উঠে কুয়াশা দেখছেন, ছবি তুলছেন।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে খুলনা গেজেটকে বলেন, ভোর থেকে খুলনার চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। বেলা ১১টার দিকে সূর্য ওঠেছিল। কিন্তু আকাশে মেঘ ও কুয়াশা থাকায় সূর্যের আলো ২ থেকে ৩ঘণ্টার বেশি দেখা যায়নি। মেঘ সরে গেলে আবারও সূর্য উঁকি দেবে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট / এআর