বঙ্গবন্ধু: শতাব্দীর মহান রাষ্ট্রনায়ক শীর্ষক তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী আজ (শুক্রবার) থেকে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে শুরু হয়েছে। বিকেলে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, ইন্দিরাগান্ধী কালচালার সেন্টার, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয় এবং খুলনা শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত ১২ জন চিত্র শিল্পীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা পর্যায়ের ২৭ টি ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পায়। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনেকে জানলেও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার অবদান নতুন প্রজন্মের অনেকে জানে না। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ফিরে আসলেন তখন কোন প্রশাসনিক কাঠামো ছিলো না, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ সবকিছু ছিল বিপর্যস্ত। তখন তিনি বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে প্রান্তিক কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করলেন। তিনি খুব স্বল্প সময়ে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায় করত সক্ষম হন। এসকল সুদূর প্রসারী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুকে শতাব্দীর মহান রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করে।
খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান, খুলনা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ট্রেজারার সাধন রঞ্জন ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন।তথ্যবিবরণী।
খুলনা গেজেট/কেএম