পুলিশের দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির ৭০জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওহিদুজ্জামান শিকদার এই চার্জগঠন করেন।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরকার উচ্ছেদ, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ধ্বংস, নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি এবং ইটের টুকরো নিয়ে রওনার অভিযোগে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করে পুলিশ। সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শ’জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন যার নং-৬।
আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সোনাডাঙ্গা থানার এসআই পল্লব কুমার সরকার। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা-২ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৭০জনকে চার্জশীটভুক্ত আসামী করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক মামলাটি আমলে নেয় ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর। ওইদিন মামলাটির বিচার কার্যের জন্যে বিভাগীয় স্পেশাল জজ খুলনা আদালতে হস্তান্তর করা হয়।
চার্জগঠন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশগ্রহণ করেন স্পেশাল পিপি এড. মাহমুদা ফারহানা। বিপরীতে আসামীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এড. এস এম মনজুর আহমেদ, মোল্লা গোলাম মওলা, লস্কর শাহ্ আলম, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ রফিকুজ্জামান ও এড. ওমর ফারুক বনি প্রমুখ।
চার্জগঠন সম্পর্কে খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার বিরোধী দল-মত দমনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাল্পনিক অভিযোগের মামলাগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ভোটডাকাতরা আবারও একটি সাজানো-পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা আঁটছে। আর তথাকথিত নাশকতার মামলাগুলোর সাজানো-পাতানো রায় দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আওয়ামীলীগ। কিন্তু সে দিবাস্বপ্ন কোনদিন পূরণ হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে লজ্জাজনক পতন হবে এই সরকারের। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি