খুলনার বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি তিন শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ডাঃ মুসলিমা খাতুন জুই তাদের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। বটিয়াঘাটায় ধর্ষণের চারদিন পরেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সঞ্জয় শীল (৫০)। একই উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক অজিয়ার রহমানকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনগণ। এ ঘটনায়ও মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে ডুমুরিয়ায় ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলায় সুখদাড়া এলাকায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১২ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় শীল (৫০) নামে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার থানায় মামলা দায়ের হলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুখদাড়া এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার চারদিনেও আসামী গ্রেফতার হয়নি। ভিকটিম এই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল।
বটিয়াঘাটা ঝিনাইখালিতে ধর্ষণের শিকার হয়ে অপর এক মাদ্রাসাছাত্রী (১২) তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বটিয়াঘাটার বিরাট বাজারের স্থানীয় যুবকরা অভিযুক্ত অজিয়ার মোল্লাকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেন। আটক অজিয়ার বটিয়াঘাটার কুলটিয়া গ্রামের বাহের মোল্লার ছেলে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ভান্ডারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ বলেন, আমি আটক করেছিলাম, কিন্তু এখন তো সেভাবে বলতে পারছি না। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের না জানিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে ডুমুরিয়া থানার বানিয়াখালি এলাকায় ধর্ষণের শিকার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ১১ বছরের শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাব্বির সরদার ও ধর্ষণের সহয়তাকারী সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব খুলনা গেজেটকে বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ/এমএম