রাত পার হলেই বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই সভায় নির্ধারিত হবে আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাগ্য। এবার মনোনয়ন ধরে রাখতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন খুলনার ৫টি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যরা। নৌকার টিকিট নিশ্চিত করতে, শেষ বারের মতো বিভিন্ন নেতার বাড়িতে ছুটছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সেল থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৫৪ নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এরমধ্যে খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) একমাত্র আগ্রহী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতির জনকের ভ্রাতুস্পুত্র সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ বর্তমান সংসদ সদস্য ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাসের জন্য মনোনয়ন নিশ্চিত করা সহজ হচ্ছে না। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সংরক্ষিত নারী এমপি অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সোহেল। আরও ৫ নেতা দলের মনোনয়ন চাইলেও তাদের সম্ভাবনা একেবারেই কম বলে জানা গেছে।
খুলনা-৩ আসনে বর্তমান এমপি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের দুশ্চিন্তার কারণে হিসেবে দেখা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং বর্তমান সেনা প্রধানের বোন অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার। মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও আলোচনায় নেই অন্য ৩ নেতা।
খুলনা-৪ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদীর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালসহ এই আসন অন্য নেতাদের নিয়ে আলোচনা কম।
অল্প সময় মাঠে নেমে খুলনা-৫ আসনে বর্তমান এমপি ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এই আসনে আরও ১১ নেতা মনোনয়ন ফরম নিলেও তাদের সম্ভাবনা কম।
খুলনা-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে সাবেক এমপি সোহরাব আলী সানা, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম আলোচনায় রয়েছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নিজেদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দিলেও প্রায় সব নেতা খুলনা গেজেটকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটা সবাই মেনে নিবেন।
খুলনা গেজেট/এইচ/এমএম