খুলনায় তক্ষকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৬ এর একটি অভিযানিক দল। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একজনকে ২ হাজার জরিমানা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতে তাদের নগরীর রূপসা স্ট্যান্ডরোড মোল্লাবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রূপসা স্ট্যান্ড রোড মোল্লা বাড়ি এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা সবুজবাগ এলাকার আশরাফ শেখের ছেলে ফারুক হোসেন বাপ্পী ও খালিপুর চিত্রালী এলাকার মো: সুলতানের ছেলে মো: আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া মিজান নামে একজনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব ৬ খুলনার সহকারি পরিচালক লে: আবুল কালাম আজাদ খুলনা গেজেটকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নগরীর রূপসা স্ট্যান্ডরোড এলাকায় কতিপর ব্যক্তি তক্ষক কেনাবেচা করছে এমন সংবাদ তাদের কাছে আসে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। তক্ষক বিক্রি হবে এমন সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৮ টার দিকে তারা রূপসা স্ট্যান্ডরোড মোল্লাবাড়ি ঘিরে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা তক্ষকটি উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আরিফুল ইসলাম তক্ষক বিক্রির মধ্যস্থতাকারী। গহীন জঙ্গল থেকে তক্ষক সংগ্রহ করে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে তা বিক্রি করতেন। সোমবার তক্ষকটি ক্রয় করার জন্য তিনজন মোল্লাবাড়িতে আসেন। সেখানে দরদাম করার সময়ে তাদের আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আরিফুল ইসলাম, ফারুক হোসেন বাপ্পী ও মো: আব্দুর রাজ্জাককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এসময়ে আদালত মো. মিজানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী খুলনা গেজেটকে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারদন্ড দেওয়া হয়েছে। মো. মিজান উৎসাহী হয়ে তাদের সাথে এখানে এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ পাওয়া যায়নি। তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/জেডএস/এমএম