তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি)’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভা আজ (শনিবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিনিয়র সচিব বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে গতিময়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করে গেছেন। সে পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে ডিজিটালসেবা চালু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকল দপ্তরে ই-নথি চালু করা হয়েছে। সরকারি সুরক্ষা এ্যাপস ব্যবহার করে আট কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেশেনের আওতায় আনা হয়েছে। দেশে প্রায় ৩৯টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। বিভাগীয় শহর খুলনার হাইটেক পার্ক হবে দৃষ্টি নন্দন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাবের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে, এবার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র। খুলনা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি