খুলনা মহানগরীসহ নয়টি উপজেলায় আগামীকাল রবিবার থেকে ফ্যামেলী কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা হবে। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। শুক্রবার ব্যতিত সপ্তাহের সব দিন এ পণ্য ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। এ কার্যক্রমের অধীনে ১ লাখ ৯১ হাজার মানুষ সুলভমূল্যে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।
প্রতিটি কার্ডধারী ব্যক্তি ৪৬০ টাকার প্যাকেজে ১১০ টাকা দরে দু’লিটার সয়াবিন তেল, ৬৫ টাকা দরে দু’কেজি ডাল ও ৫৫ টাকা দরে দু’কেজি চিনি ক্রয় করতে পারবেন। প্রথমে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের এক থেকে চার ওয়ার্ডে দু’হাজার মানুষের মাধ্যে ১৬ টি গাড়ির মাধ্যমে এ পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে। প্রতিটি গাড়িতে এক হাজার কেজি চিনি, এক হাজার কেজি ডাল ও এক হাজর লিটার তেল দেওয়া হবে।
খুলনা টিসিবি’র আঞ্চলিক প্রধান মো: রবিউল মোর্শেদ বলেন, ১৫ মার্চ থেকে সুলভমূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রিয়ভাবে সেদিন না হয়ে ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে উপকার ভোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানগরীতে ৮৫ হাজার ও জেলায় ১ লাখ ৬ হাজার মানুষ এ কার্ডের মাধ্যমে উপকার ভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ২০ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্য একটি কার্ড পাবেন। কার্ডের মাধ্যমে ওই সদস্য দু’কেজি চিনি, দু’কেজি ডাল ও দু’লিটার তেল একবার গ্রহণ করতে পারবে। প্রথমদিকে তেল, ডাল ও চিনি প্রদান করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে এর সাথে খেজুর ও ছোলা সংযুক্ত করা হবে।
আগের প্রক্রিয়া বন্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক লোক বারবার নিতে পারত। সেখানে সকলের পণ্য নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ সুযোগ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে ডিলারদের অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। যেহেতু কার্ড সংখ্যা নির্ধারিত। ট্রাকসেলের কাছে কার্ডধারীরা উপস্থিত না থাকে, সেক্ষেত্রে কাউন্সিলর ও কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই ওয়ার্ডে হত দরিদ্র মানুষের মধ্যে ডিলাররা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে চারটি গাড়ি কাউন্সিলরদের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে এ পণ্য বিক্রি করা হবে